পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বেকার


বেকার
Jobless 2
এই সমাজে অনেক আছে বেকার
খবর রাখে বলতে পারো কে কার?
তাদের নিয়ে কেউ ভাবে না
পায় না সময় লেখার-
কাজ করে না, করেটা কী
নেই কেহ তা দেখার!
কাজ না পেয়ে অনেকেই
হচ্ছে যে হাই-জ্যাকার-
অনেকেই সন্ত্রাসী হয়
কিংবা কোন হ্যাকার!
তাদের মাঝেও এই আমাদের
অনেক আছে শেখার-
তারাও যে ভাই পারতো হতে
অনেক কিছুর মেকার!
এই সমাজের অংশ তারা
সমাজটা নয় একার-
কাজ দিলে কী সবাই এমন
থাকতো বসে বেকার?

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

সে

একদিকে তার মুচকি হাসি
অন্যদিকে ভেলকি যে
এই সমাজে তার কারণে
ঘটলো আজব খেল্ কি যে! 

সবার সাথেই প্রতারণা
খুব সহজে করতো সে
বাজ পাখিকে হার মানিয়ে
নিজের শিকার ধরতো সে।

কিন্তু যেদিন ডাকটা এলো
লাল দালানের ঘর থেকে
অমনি চোরা পালিয়ে গেল
পারবে তাকে ধরতে কে?

একদিকে তার মুচকি হাসি
অন্যদিকে ভেলকি যে
এই জীবনের সব দেখেছে
তাও বুঝেনি জেল কি যে!

ওয়াদা

 
দশ টাকাতে চাল খাওয়াবো 
বিনা মূল্যে সার- 
ঘরে ঘরে চাকরী দেব 
সমস্যা কী আর? 

বিদ্যুতেরই আলো দিয়ে 
ভরবো সোনার দেশ, 
পানি সংকট দূর হবে আর 
সবাই পাবে গ্যাস। 

'ভিশন' আমার অনেক বড়ো 
টি টুয়েন্টি ওয়ান- 
সবাই থাকো আমার সাথে 
দেশের সকল জোয়ান। 

আধুনিক এক দেশ বানাবো 
সত্যি ডিজিটাল- 
বিনামূ্ল্যে সার দেব আর 
দশ টাকাতে চাল!

দূর্নীতি

সবকিছুতে দু'নম্বরি, দূর্নীতিতে এক হই 
অন্য সবে দূর্বলতা, এইটাতে খুব টেকসই! 
পিয়ন থেকে প্রাইম মিনিষ্টার সবাইকে যে ঘুষ দেই- 
কেউ যদি তা চায়না নিতে, তাইলে যে পাম-পুশ দেই! 

দূর্নীতিকে 'না' বলি রোজ, কিন্তু কাজে 'হ্যাঁ' বলি 
কর্মক্ষেত্রে মিল থাকে না, মুখে আমরা যা বলি। 
সবকিছুতে পিছিয়ে পড়ি, দূর্নীতিতে শীর্ষে যে 
আমরা থাকি যুগ থেকে যুগ 'বীর বাঙালি', বীর সেজে!

রাজপথে কেউ বের হবে না


(উৎসর্গ: বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক-কে)রাজপথে কেউ বের হবে না
মিছিল মিটিং করবে না-
প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেউ
স্লোগান কভু ধরবে না।

নইলে তোমার ফাটবে মাথা
গ্যাঞ্জি ধরে টান খাবে
প্যান্ট-টা খুলেও নিতে পারে
তখন তোমার মান যাবে! 

আর যদি হও মাইয়া তুমি
তাইলে তোমায় বিবস্ত্র-
করবে পুলিশ রাজপথে ঠিক
তোমার হাতে কি অস্ত্র?

ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে থাকো
বের হবে না রাজ পথে-
নইলে তোমার মৃত্যুও যে 
ঘটতে পারে মাঝ পথে!

মাল মিয়া বলেছিল কম যেতে বাজারে

:-মন্ত্রীরা আজকাল 
বড় বেশি ধমকান- 
কেউ বলে চুপ হতে 
কেউ বলে কম খান! 

:-এইসব কথা শুনে 
কেন শুধু চমকান? 
স্বাস্থ্যের কথা ভেবে 
বলেছে সে কম খান! 

মাল মিয়া বলেছিল 
কম যেতে বাজারে 
এইসব কথা মেলে 
খুব কম হাজারে!

ঈদের চাঁদ



আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে 
চোখ দু'টো জ্বালা করে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তবু খুঁজি চাঁদ 
আমরা যে পালা করে!

আঙুল দিয়ে দেখালো আপু
ওই দেখ চাঁদ হাসে
এক লাফে আমি দাঁড়ালাম গিয়ে
প্রিয় আপুনির পাশে।

কোথায় সে চাঁদ, দেখিনি তো আমি
আমাকে দেখাও আপি
তাকাই যেদিকে সেদিকেই শুধু
দেখি যে মেঘের ঝাঁপি!

ওই দেখ চাঁদ, ওই দেখা যায়
বলল ভাইয়া হেসে
আমি গিয়ে ফের দাঁড়ালাম তাই
ভাইয়ার কাছে ঘেঁষে।

তাকাতে তাকাতে ঘাড়ে ব্যথা করে
দাঁড়াতে দাঁড়াতে পায়ে
কেউ বলে চাঁদ ওই দেখ ডানে
কেউ বলে দেখ বাঁয়ে! 

অবশেষে মা ঘর থেকে ডেকে
বললেন, শোন সবে
রেডিওতে এই খবর এসেছে
কালকেই ঈদ হবে!

আকাশের দিকে সকলে তাকাই
আবারও নতুন করে
ধবধবে সাদা, চিকন কাঁচি
সকলেরই চোখে পড়ে! 

সকলের মুখ হাসি-খুশি ভরা
দুধমাখা চাঁদ দেখে
চাঁদ সে তো নয়, যেন সুখ পাখি
স্বপ্ন দিয়েছে এঁকে!

রমজানের ওই রোজার শেষে
এসে গেছে ফের ঈদ
কাঁধে কাঁধ রেখে হাতে হাত ধরি
ছুঁড়ে ফেলে সব জিদ! 

চাঁদ রাত শেষে সকলেই দেখি
একদিকে শুধু হাঁটে
নতুন পোষাকে নতুন জীবন
খুঁজে ফিরে ঈদগা'তে।

কোলাকুলি আর সালাম বিনিময়
দৃশ্যটা কতই না ভালো
রোজা আর ঈদ থাকতো না যদি
ছড়াতো কী এমন আলো?

ঈদগাহে যদি সকলে আমরা
ভাই ভাই পারি হতে
সারাটি জীবন আমরা যে কেন
চলি নাকো এই পথে!

ঈদের চাঁদ

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১১

কম খাওয়ার পরামর্শ


কম খাওয়ারও পরামর্শ
দিচ্ছে এখন কর্তারা-
বিল খেলাপী, ঋণ খেলাপী
দিচ্ছে কী ভাই কর তারা?

তারাই আগে বলেছিল
দশ টাকাতে চাল দেবে
বেশ টাকাতে খেলেও এখন
দেখছি তারা গাল দেবে!

চল্লিশ টাকা চালের কেজি
একশ বিশে ডাল দেখ
চিনির বস্তা উধাও হলো
নুন হারাবে কাল দেখ।

পান্তা ভাতে নুনের ছিঁটা
হন্যে হয়ে খুঁজবে কী?
কর্তারা তো 'আরাম বাগে'
জাতির বিপদ বুঝবে কী?

রাখবো দিনে রোযা

সময় মতো সাহরী খাবো
রাখবো দিনে রোজা-
জীবন থেকে চাই কমাতে
পাপের কিছু বোঝা।

পড়বো কুরআন অর্থ বুঝে
মানবো খোদার বাণী
রামাদ্বানেই কুরআন শরীফ
নাযিল হলো জানি।

রাতের বেলা পড়বো নামাজ
থাকবো দিনে রোজা-
আঁকা-বাঁকা পথটি ছেড়ে
চলবো পথে সোজা।

আল্লাহ পাকের তসবীহ জপে
দিনটা যাবে কেটে
ইফতারিতে কী আনন্দ
পড়বে দানা পেটে! 

মে দিবসের ছড়া

এক.
মে দিবসে বলবো কি আর
একটি কথা বলতে চাই-
শ্রমিকদেরে মানুষ ভেবে
তাদের সাথে চলতে চাই।

আমরাও যে সবাই শ্রমিক
এই কথাটি মানতে চাই-
সকল কাজেই এখন থেকে
শ্রমকে টেনে আনতে চাই!

দুই.
ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার
শ্রম যে বিলায় বিজ্ঞানি আর
আদালতে জজ-উকিলে
শ্রম যে বিলায় কেস টুকিলে!

শ্রম দিতে হয় মাস্টারিতে
কিংবা গাছ ও বাঁশ টানিতে
ব্যবসাতেও শ্রম দিতে হয়
নয়তো কিছু কম দিতে হয়।

খেলাধুলা অভিনয়ে 
শ্রম দিতে হয় সব সময়ে
পরিশ্রমে ধন যে আনে
তাই সেদিকে মন যে টানে।

নির্বাচনী ছড়া

শহরতলী, গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের হাওয়া
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে যায়রে সালাম পাওয়া।
অমুক ভাই আর তমুক ভাইয়ে ডোর থেকে ডোর ঘুরে
সবাই কত আপন এখন, কে্উ থাকে না দূরে!

মোরগ, হাতী, গরুর গাড়ি মার্কা আছে কতো-
আনারস আর আম, কাঁঠালও প্রতীক মনের মতো।
কে্উ বা আবার ব্যতিক্রমী সেলাই মেশিন, ঘড়ি-
কারো প্রতীক দা-কুড়ালও কে্উ বা হাতের ছড়ি! 

বই-খাতা বা কম্পি্উটারও মার্কা যে ভাই কারো
ক্রিকেট ব্যাটও বাদ পড়েনি মার্কা আছে আরো!
আমরা যারা আম জনতা তাদের পিছে ঘুরি
তাদের সালাম পাচ্ছি এখন করুক পরে চুরি!

যে ছেলেটা

যে ছেলেটা রিক্সা ঠেলে
কাগজ টোকায়
বস্তা হাতে ঘুরে;
তার কাছে কেউ যায় না তো ভাই
ঘৃণা করে!
দেয় তাড়িয়ে দূরে।

পথের ধারে ইট ও পাথর ভাঙে যারা
বিক্রি করে
বাদাম, পানি, ফুলের মালা
তাদের তো কেউ দেয় না স্নেহ-
আদর, সোহাগ এনে;
ঘুরে বেড়ায় পথে ঘাটে
ইচ্ছে হলেই নিতে পারো
তাদের তুমি ভালবেসে
তোমার কাছে টেনে।

তাদের পাশে দাঁড়াও-
একমুঠো ভাত পায় না যারা
ভালবাসার পরশ নিয়ে 
তাদের দিকে
খোদার দেয়া হাত দু'টোকে বাড়াও।

বৃষ্টি আমার

বৃষ্টি আমার মন কেড়ে নেয়
টাপুর টুপুর সুর করে,
বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা
দু:খ ব্যথা দূর করে।

বৃষ্টি আমার বুকের ভেতর
টাপুর টুপুর গান করে,
অতীতটাকে স্মরণ করায়
হৃদয়টা আনচান করে।

বৃষ্টি আমার চোখ দুটোকে
দেয় জুড়িয়ে খুব করে,
তাইতো আমি বৃষ্টি দেখি
দাড়িয়ে বসে চুপ করে।

বৃষ্টি আমার ভালবাসা
বৃষ্টি আমার পছন্দ,
বৃষ্টি দিয়ে তাইতো গড়ি
কাব্য কথা ও ছন্দ!

রাজপথে কেউ বের হবে না

রাজপথে কেউ বের হবে না
মিছিল মিটিং করবে না-
প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেউ
স্লোগান কভু ধরবে না।

নইলে তোমার ফাটবে মাথা
গ্যাঞ্জি ধরে টান খাবে
প্যান্ট-টা খুলেও নিতে পারে
তখন তোমার মান যাবে! 

আর যদি হও মাইয়া তুমি
তাইলে তোমায় বিবস্ত্র-
করবে পুলিশ রাজপথে ঠিক
তোমার হাতে কি অস্ত্র?

ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে থাকো
বের হবে না রাজ পথে-
নইলে তোমার মৃত্যুও যে 
ঘটতে পারে মাঝ পথে!

একগুচ্ছ হারানো দিনের ছড়া

পাড়াগাঁয়ের দিনগুলি
১.
মাছরাঙা গাছের ডালে
আকাশপানে বুলবুলি-
দেখতে পেতাম আমরা যখন
পুকুরপাড়ে ফুল তুলি।

নানী বাড়ির পিঠে খাওয়া
খেলার মাঠে ছুটে যাওয়া
আম লিচু জাম কুড়িয়ে নিতাম
আর কুড়াতাম ফুল গুলি।

ঘাস ফড়িঙের পিছে ঘুরে
চলে যেতাম অনেক দূরে
মাঝ পুকুরে সাঁতরে যাওয়ার 
হারিয়ে গেছে দিন গুলি।

২.
পাড়া গাঁয়ের দিনগুলি সব
আজো মনে পড়ে
স্মৃতির পাতায় সব দেখে যে
হৃদয় আমার নড়ে! 

বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা রাতে
লাগতো কী যে ভালো
অন্ধকারে পেতাম শুধু
হারিকেনের আলো।

রাত পোহালে ভোরের আযান
আসতো ভেসে কানে
মনটা আমার ভরতো পাখির
কিচির মিচির গানে।

পাড়া গাঁয়ের দিনগুলি সব
আজও মনে পড়ে
ফেলে আসা দিনগুলোতে
যেতে ইচ্ছে করে! 

৩.
যায়না যাওয়া সেই অতীতে
ভাবছি এখন নিজ গতিতে
হারিয়ে যাওয়া দিনের নিকট
থেকেই গেল ঋণ গুলি,
আজও আমার মনে পড়ে
পাড়া গাঁয়ের দিনগুলি।

অণুকাব্য

(১)
ভালোবাসার গল্প হলো
কালকে
তিল বানালে আজকে তুমি
তালকে!

(২)
বুকের ভেতর জমা থাকে
পিরীতি
এখন প্রেমের কী জানি হায় 
কি রীতি!

(৩)
রাত পোহালে সূর্য্য ওঠে
পূর্বে
সূর্য্য হয়ে আমার এ মন
তোমার পিছে ঘুরবে।

(৪) 
ক্ষুধার রাজ্যে হয় পৃথিবী
গদ্যময়
তোমার সাথে প্রেম করা তাই
অদ্য নয়।

(৫)
বুক পকেটে ভালোবাসা
মানিব্যাগে বিনিময়
টাকার পাহাড় থাকবে যাহার
প্রেমে পাবেন তিনি জয়!

(৬)
তোমায় আমি ভালোবাসি
বলবো না
প্রেমের জ্বালায় কয়লা হয়ে
জ্বলবো না।

(৭) 
ভালোবাসা মানেই হলো 
কষ্ট
ভালো বেসে কেউ করো না
জীবনটাকে নষ্ট!

দূর্নীতি

সবকিছুতে দু'নম্বরি, দূর্নীতিতে এক হই 
অন্য সবে দূর্বলতা, এইটাতে খুব টেকসই! 
পিয়ন থেকে প্রাইম মিনিষ্টার সবাইকে যে ঘুষ দেই- 
কেউ যদি তা চায়না নিতে, তাইলে যে পাম-পুশ দেই! 

দূর্নীতিকে 'না' বলি রোজ, কিন্তু কাজে 'হ্যাঁ' বলি 
কর্মক্ষেত্রে মিল থাকে না, মুখে আমরা যা বলি। 
সবকিছুতে পিছিয়ে পড়ি, দূর্নীতিতে শীর্ষে যে 
আমরা থাকি যুগ থেকে যুগ 'বীর বাঙালি', বীর সেজে!

ওয়াদা



দশ টাকাতে চাল খাওয়াবো 
বিনা মূল্যে সার- 
ঘরে ঘরে চাকরী দেব 
সমস্যা কী আর? 

বিদ্যুতেরই আলো দিয়ে 
ভরবো সোনার দেশ, 
পানি সংকট দূর হবে আর 
সবাই পাবে গ্যাস। 

'ভিশন' আমার অনেক বড়ো 
টি টুয়েন্টি ওয়ান- 
সবাই থাকো আমার সাথে 
দেশের সকল জোয়ান। 

আধুনিক এক দেশ বানাবো 
সত্যি ডিজিটাল- 
বিনামূ্ল্যে সার দেব আর 
দশ টাকাতে চাল!

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১১

আম জনতার ছড়া

আমরা সবাই আম জনতা
নেতার কথায় কাম করি
হর হামেশা পাই না কাছে
তবু নেতার নাম করি!

মন যোগানোর জন্যে তাদের
হন্যে হয়ে পিছ ধরি
কিন্তু কপাল খারাপ বলে
রোজই তাদের মিস্ করি!

নির্বাচনের সময় নেতা
এই আমাদের পিছ্ ধরে
নির্বাচনে জেতার পরই
জনগণকে মিস্ করে!!

ভাবাসার বৈশাখে

সত্য পথে কেউ হাঁটেনি
তাই কী তুমি হাঁটবে না,
কেউ খাটেনা সঠিক ভাবে
তাই কী তুমি খাটবে না?

সুখ পাখিটা কেউ ধরেনি
তাই কী তুমি ধরবে না,
মন ভালো নেই, তাই বলে কী
মনকে ভালো করবে না?

ভবঘুরে হয়েই তুমি
পথে ঘাটে ঘুরবে কী,
মনের ডানায় ভরটা দিয়ে
আকাশ পানে উড়বে কী?

তোমার জন্যে অপেক্ষমান
ডাকছে পাখি ওই শাখে
আর ঘরে নয়, বাইরে এসো
ভালোবাসার বৈশাখে!

ভাঙা মনে দুখের নদী

মনের কথা বলতে গিয়ে
নিজের মতো চলতে গিয়ে
পেলাম যখন বাধা;
বুকের আশা পন্ড করে
মনটাকে দ্বি-খন্ড করে
ভেঙে দিলাম ধাঁধা।

ভাঙা মনে তাইতো এখন
বইছে দুখের নদী
দু:খ ভরা জীবন আমার
চলছে নিরবধি......।

বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১১

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-১১

ছড়া থাকে রাজনীতি, ভোটেও
স্লোগানেতে জনতার ঠোঁটেও।
থাকে ছড়া নেতাদের ভাষণে
দেখ ছড়া রাজ সিং-হাসনে!

ছড়া হলো সত্যের অস্ত্র,
গরীবের দেহ ঢাকা বস্ত্র-
হয়ে থাকে দিনে আর রাতেও
ছড়া দেখ দুধমাখা ভাতেও!

ছড়া দেখ বুলেট আর বোমাতে
পারে ছড়া সন্ত্রাস দমাতে।
ছড়া হয় সৎ পথে সাথী আর-
হয়ে থাকে বিজয়ের হাতিয়ার!

ছড়া দিয়ে গড়া হয় উৎসব-
দূর হয় সমাজের ভূত সব!