পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১১

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-১১

ছড়া থাকে রাজনীতি, ভোটেও
স্লোগানেতে জনতার ঠোঁটেও।
থাকে ছড়া নেতাদের ভাষণে
দেখ ছড়া রাজ সিং-হাসনে!

ছড়া হলো সত্যের অস্ত্র,
গরীবের দেহ ঢাকা বস্ত্র-
হয়ে থাকে দিনে আর রাতেও
ছড়া দেখ দুধমাখা ভাতেও!

ছড়া দেখ বুলেট আর বোমাতে
পারে ছড়া সন্ত্রাস দমাতে।
ছড়া হয় সৎ পথে সাথী আর-
হয়ে থাকে বিজয়ের হাতিয়ার!

ছড়া দিয়ে গড়া হয় উৎসব-
দূর হয় সমাজের ভূত সব!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-১০

ছড়াকার

ছড়া লেখা ভাল কোন 'জব' ও না
লিখে ছড়া কোটিপতি হবো না!
হতে চাই তবু আমি ছড়াকার
ভাবি এই দু'টো হাত গড়া কার?
এই মনে এত কথা কে দিল?
তাঁর কাছে মাথা নত এই জ্ঞান যে দিল।

লিখি ছড়া, পড়ে সেটা ক'জনে?
পাগলামো করি, ভাবে স্বজনে!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৯

ইচ্ছে করে কষ্ট তো আর
চায় না দিতে কেউ মা'কে
চাকরীটা যে সোনার হরিণ
পায় না খুঁজে কেউ তাকে।

চাকরী তো নয় মামার বাড়ি
চাকরী যে নয় সিন্দাবাদ
সবাই কেবল চাকরীটাকেই
বলছে দেখি জিন্দাবাদ।

পায়ের জুতো ক্ষয় হয়ে যায়
চুল পড়ে হয় টাক মাথা
চাকরী খুঁজে পায় না বেকার
বয়স বেড়ে যাক না তা।

কেমন করে বেকার যুবক
করতে পারে সৎ আশা
জীবন জুড়ে পায় বেকারে
দুঃখ-জ্বালা, হতাশা!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৭

পতাকা
ছড়া আছে বিজয়ের মালাতে
গরীবের ভাত চাওয়া থালাতে।
ছড়া আনে স্বাধীনতা মুক্তি
সত্যের সাথে করে চুক্তি।

বদলাতে জানে ছড়া দিন-কে
ছড়া শোধ করে দেনা, ঋণ-কে।
ছড়া পারে পরাজয় এড়াতে
মঙ্গলে যেতে পারে বেড়াতে!

ছড়া তাই বিজয়ের পতাকা
পতাকায় জনতার মত আঁকা।

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৭

ছড়া দেখ সবদিকে
ছড়া দেখ সবদিকে ছড়ানো
বৃক্ষের পাতা ডালে জড়ানো।
পাখিদের সুর করা গানেতে
অঘ্রাণে মাঠ ভরা ধানেতে।
নদীদের ঢেউ তোলা বাঁকেও
ছড়া আছে দাদুর ওই তেল মাখা টাকেও!

ছড়া আছে রিক্সার চাকাতে
কিবা তার চালকের মাথাটাকে ঝাঁকাতে।
রিক্সার বেলে বাজে টুনটান শব্দ
সবকিছু ছড়ার ওই ছন্দতে জব্দ!

ছড়াকার সব ছড়া লিখে না
লোকে তাই কত কিছু শিখে না!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৬

ফুটবে কবে শেষ হাসিটা
স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা
পরাজিত শক্তি ছিল
যুদ্ধের আগে তাদের প্রতি
হয়তো কারো ভক্তি ছিল!

যুদ্ধকালে তারা সবাই
আগ্রাসী আর জঙ্গি ছিল
এরপরও যে, সব রাজাকার
তখন তাদের সঙ্গী ছিল।

রাজাকারদের কাছে তখন
হরেক রকম মন্ত্র ছিল
'অজ্ঞ' সেজে সেদিন তারা
পাক বাহিনীর 'যন্ত্র' ছিল।

কিন্তু যখন যুদ্ধে জয়ী
হয়ে গেল বীর সেনারা
'মুক্তিযোদ্ধা' সুনাম নিয়ে
চলেই এল শীর্ষে তারা।

অপরাধী পাক সেনারা
চলেই গেল দেশটা ছেড়ে
সঙ্গীদেরও শাস্তি দিতে
সবাই দিল চেষ্টা ছেড়ে।

বছর চল্লিশ পার হয়েছে
স্বাধীনতা যুদ্ধ হলো
বসলো এবার বিচার সভা
এই বুঝি সব শুদ্ধ হলো!

সঠিক বিচার হতেই হবে
করছে আশা দেশবাসী তা
সব কালিমা ঘুচিয়ে দেশের
ফুটবে কবে শেষ হাসিটা?

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৫

শাহরুখের ওই নাচের তালে
নাচছে সকল নর্তকি-
শীতের দিনেই অল্প কাপড়
গরম কালে করতো কি?

কোটি টাকা গচ্ছা দিয়ে
মরছে গরীব মাছ-ভাতে
হিন্দী গানে মন জুড়ালো
বিজয়ের এই মাসটা-তে!

পান্তা ভাতে নুন খুঁজে সব
স্বাধীন দেশের কাঙালে
বিজয় দিবস পালন করে
লাভটা কী পায় বাঙালে?

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৪

বছর কয়েক আগেই তো সে
পাশ করেছে এম.এ
পথে-ঘাটে ঘুরছে এখন
বেকারত্বের জ্যাম-এ।

চাকরী খুঁজে পাচ্ছে না তাই
বাজছে নাকো বিয়ের সানাই
বেকার হাতে বলুন দেখি
তুলে দেবে কে মেয়ে?
অবশেষে ভিন্ন রকম
ব্যবসাতে যায় নেমে!

ব্যবসা যে তার চলছে ভালো
পাচ্ছে টাকা সাদা-কালো
পায় না খুঁজে বিরতিটা
যায় না তো কাজ থেমে!
অসহ্যবোধ করছে এখন
যাচ্ছে মাথা ঘেমে!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-৩

শীতের ছড়া
স্যুয়েটার ও জ্যাকেট গায়ে
আমরা ঘুরি দিন রাতে
উদোম গায়ে ওরা কাঁপে
পায়নি খাবার তিন রাতে।

বস্তাটাও পায় না খুঁজে
ওরা যখন ফুটপাতে
উৎসবেতে আমরা নাচি
শীতের পিঠা 'রুট' হাতে!

পায় না খাবার পায় না কাপড়
সইছে ওরা যন্ত্রনা-
আমরা তখন এতেই খুঁজি
কাব্য লেখার মন্ত্রনা!

চায় না ওরা কাব্য ছড়া
চায় না গল্প, নাটিকা
একটা জামা, একমুঠো ভাত
দেন্ না পাঠক-পাঠিকা।

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-২

ছড়া লিখে কোন্ জিনিসটা কন্ তো মিলে-
লাভটা কী হয় সময় দিয়ে
ছন্দ এবং অন্তমিলে?

সঠিক কথা ছড়া-ই টেনে আনতে পারে
ছড়া থেকেও মানুষ কিছু জানতে পারে।

ছড়ার পাঠক-পাঠিকাদের মন তো মিলে-
লাভ যে অনেক সময় দিয়ে
ছন্দ এবং অন্তমিলে!

ছড়া দিয়ে গড়া হোক সুন্দর পৃথিবী-১

ছড়া আছে সবখানে
ছড়া আছে সবখানে ছড়ানো
ইসকুলে হয় সেটা পড়ানো।
ছড়া আছে মানিব্যাগে পকেটে,
ঘুরে ছড়া বিমানে ও রকেটে।
ছড়া আছে রাজপথে রাজনীতি চর্চায়,
ছড়া শুধু শান্তি ও আরামের ঘর চায়।
ছড়া পড়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে,
জঙ্গলে থাকে ছড়া লতা-পাতা জড়িয়ে।
কুকুরের ঘেউ ঘেউ সেখানেও ছড়া হয়,
সব ছড়া সকলের সহজে কী পড়া হয়?

মৃত্যু হতে

ইচ্ছে করে এই দুনিয়ায়
চায় বলো ভাই মরতে কে
মৃত্যু হতে যায় কী বাঁচা,
পালিয়ে গিয়ে ঘর থেকে?
অসুখ যদি ডাক পাড়ে
খবর যে দেন ডাক্তারে
ঘনিয়ে এলে মরার সময়
পারেন বলো সরতে কে?

চাওয়া-পাওয়া

সবকিছুতেই চাওয়া,
চায় সকলে অনেক কিছু
হয় ক’জনের পাওয়া?

চাওয়ার লিস্টি ছোট্ট করে
পাওয়ার জন্য কষ্ট করে
এগিয়ে যেতে পারলে হবে
গন্তব্যেতে যাওয়া।

তখন সবার সুযোগ হবে
অনেক কিছুই পাবে সবে
তখন যাবে ইচ্ছে মতো
অনেক কিছু খাওয়া

স্বাধীনতার ছড়া

স্বাধীন ‍‍দেশে লিখছি বসে
স্বাধীনতার ছড়া
একাত্তরের সেই কাহিনী
হয় কী সবার পড়া?

কেমন করে কোন্ বাহিনী
যুদ্ধ করেছিল-
কার হাতে ঠিক কেমন করে
মানুষ মরেছিল?

এখন যাদের অল্প বয়স
দশ-এগারো-বারো
স্বাধীনতার ইতিহাসটা
জানতে হবে তারও।

জানতে হলে পড়তে হবে
বুঝতে হবে সত্য-
বিকৃত নয়, চায় সকলে
সঠিক খাটি তথ্য।

আহবান

স্কুলে যায় দশ-এগারো
তিনটা বছর কলেজে,
ভার্সিটিতে ছয় থেকে আট
সময়টা যায় জলে যে!

চাকরীটা যে সোনার হরিণ
সহজে পায় কোন্ জনে?
টেলিফোনেই নিয়োগ হয়ে যায়
মামু-খালুর গুঞ্জনে!

'বেকার জীবন হতাশার এক
কাফন দিয়ে মোড়ানো-
জীবন্ত লাশ' এই কথাটি
যায়না মোটে ওড়ানো।

আর ঘুমে নয়, জেগে ওঠে
কা‍‍জে-কর্মে অংশ নেয়
আয়রে তরুণ, মরিস না আর
বেকারত্বের দংশনে!

ক্রিকেটের ছড়া

রুপকথা নয় সত্যি এটা
এক্কেবারে খাটি
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা
খেলছে পরিপাটি।

খেলছে সাকিব দারুণ খেলা
সঙ্গে সকল সাথী
সিরিজ হেরে নিউজিল্যান্ড যে
কাদছে দিবস রাতি!

বাংলাদেশের দামাল ছেলে
এগিয়ে যাবে ঠিকই
রয়েল বেঙ্গল টাইগার তারা
অন্যরা টিকটিকি!

আগুন

আগুন জ্বলে আগুন-
চালের বাজার জ্বলছে আগুন
ডালের বাজার চলছে আগুন
মাছের বাজার তাও;
বাজার হাটের এমন আগুন
দেখতে কী কেউ পাও?

ভোজ্য তেলে আগুন পাবে
আগুন পাবে পেট্রোলে
চুলোয় আগুন না জ্বালালে
কারো কী ভাই পেট চলে?

আগুন, চারিদিকেই আগুন-
জিনিস পত্রের দামে আগুন
রিক্সাওয়ালার ঘামে আগুন
এফএম রেডিওর গানে আগুন
বউয়ের অভিমানে আগুন
আগুন সারা বিশ্বে;
আগুন নিয়ে কী খেলতে পারে
গরীব-দু:খী নি:স্বে?

নাটোরের সানাউল্লাহ নূর

বলতে গেলে কষ্ট লাগে
চোখ ভেসে যায় জলে,
চেয়ারম্যান-কেও হত্যা করে
সরকারি এক দলে!


সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল
রাম-দা এবং লাঠি,
হামলা করে রক্তে ভাসায়
নাটোর জেলার মাটি।


নির্মমভাবে খুন যে হলেন
সানাউল্লাহ নূর,
কেমন করে এদেশ থেকে
সন্ত্রাস হবে দূর?

সময় মতো

সময় মতো জানবে সবাই
শত্রু কে আর বন্ধু কে?
ভিন্ন ধারায় চিন্তা করার
জন্যে যাদের মন ঢুকে।

পাছে লোকের অনেক কথা
নিন্দা করে নিন্দুকে
সবকিছুই রাখতে হবে
আলমিরা বা সিন্ধুকে!

সময় মতো জবাব হবে
সত্য কথায় টনটনে
এখন যারা ব্যস্ত আছেন
ভালবাসা বন্টনে!

ধৈর্য্য

করতে যদি পারো তুমি সবর
আল্লাহ’তায়ালা করবে তোমার খবর।

সবুরে যে মেওয়া ফলে
সবার আছে জানা
ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে
সাফল্য যায় আনা।

ধৈর্য্য ধর ধৈর্য্য ধর
ধৈর্য্য ধর সবে
পরাজয়ের পরই তুমি
আবার সফল হবে।

কথার কথা

কথার কথা বলতে গেলে
অনেক কথা বলতে হয়
সত্য কথা বলতে গিয়ে
দু:খ ব্যথায় জ্বলতে হয়।

মিথ্যা কথা বলার পরে
কান দুটোকে মলতে হয়,
ফালতু কথা বলে বলেই
অনেকটা পথ চলতে হয়।

নিরাপদ আশ্রয়

ফটোগ্রাফার তার ক্যামেরায়
তুলছে দারুণ ছবি-
পত্রিকাতে লিখছে দেখ
সাংবাদিক আর কবি।

কী যে করুণ, সেই কাহিনী
একটু যদি বলি,
হয়তো বা কেউ করুণ সুরে
বাঁধবে গানের কলি।

ঘুরে ফিরে একটি কথা-ই
আলোচনায় আসে,
পাবনা জেলা প্রশাসনের
কান্না চোখে ভাসে।

কেমন করে মানবে এসব
শান্তি প্রিয় জাতি?
কী নিরাপদ আশ্রয়ে যে
কাটছে দিবস-রাতই!

তোমায় ঘিরে

তোমার কথা ভাবতে গেলে আমার বড় কষ্ট হয়
তোমার কথায় আমার মতো অনেক জীবন নষ্ট হয়।
তোমার কথা রাখতে গিয়ে অনেকে পথ ভ্রষ্ট হয়
কী আকাঙ্খা তোমার মনে, কারো কাছেই স্পষ্ট নয়।

তুমি হলে নাম্বার ওয়ান, হৃদয় রাজ্যের রাণী মা
কোন যাদুতে মুগ্ধ করো কেউতো কিছু জানি না!
তোমায় নিয়ে কাব্য লিখে লাভ হলো না অল্প
তারচে' ভাল হতো আমার লিখলে কোন গল্প।

কিন্তু এখন দেখছি তুমি করছো শুরু অভিনয়-
তাই তোমাকে জানিয়ে দিচ্ছি এই কবিতায় সবিনয়:
বন্ধ করো বন্ধ করো সাজানো এই নাটক-
তোমার খাচায় করবেনাকো কারো বিবেক আটক!

নয়ন ভরে দেখে তোমায় মন জুড়ালো বাঙালে
তোমায় ঘিরে স্বপ্ন তাদের নিজেই তুমি ভাঙালে।
তোমার সকল তেলেসমাতি জাতির ঘাড়ে টাঙালে
অসহায়ের রক্ত দিয়ে নিজের দেহ রাঙালে।

পাখ-পাখালি, গাছ-গাছালি করলে তোমায় ঘৃণা-
পরকালে খোদার কাছে মুক্তি পাবে কিনা?-
চিন্তা করে এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও নিজে-
নইলে নিজের চোখের জলে নিজেই যাবে ভিজে!

তোমার হাতে

তোমার কথা শুনে সবাই
উত্তেজনায় ঘামছিল,
দেশ জনতার কাছে তোমার
অনেক বেশি দাম ছিল।

নিরস্ত্র ওই বাঙালিদের
যখন ওরা মারছিল,
তখন তাদের পাশে থাকার
দায়িত্বটা কার ছিল?

আগুন নিয়ে ছিনিমিনি
ওরাই সেদিন খেলছিল,
নিরীহ সব বাঙালিদের
মৃত্যু মুখে ঠেলছিল!

তুমি যখন কারাগারে
হয়ে গেলে দেশ ছাড়া,
তোমার সকল শত্রুদেরে
করলো সেদিন শেষ কারা?

তোমার প্রতি কারো কি আর
ভালবাসার শেষ ছিল,
তোমার হাতে সত্যি সেদিন
'সোনার বাংলা' বেশ ছিল।

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১১

'বড়শি হাতে পড়শি'

বড়শি হাতে পড়শি রাণী
মাছ ধরাতে ব্যস্থ যে,
তার বিরুদ্ধে বললে কিছু
বলেন দেব কেস তোকে!

রুই-কাতলা, ইলিশ-মৃগেল
সব ধরেছেন মাছ তিনি,
তিনার দাদা তাঁর উপরে
তাই হয়েছেন খাস ঋণি।

দাদার দেয়া আশীর্বাদে
বড়শিটা তাঁর বেশ চলে,
ভাল জাতের সকল মাছই
হচ্ছে এখন শেষ জলে!

বড়শিটা তাঁর খুব যে আপন
করতে চান না হাত ছাড়া,
শিকার করতে চান না কো মাছ
ভাল একটি জাত ছাড়া!

বিছমিল্লাহ


কেউ বলে ওয়াটার
কেউ বলে পানি,
কেউ তাকে জল বলে
সকলে তা জানি।

কেউ বলে আম আর
কেউ বলে ম্যাঙ্গো
কেউ বলে বিদ্রুপ
কেউ বলে ব্যঙ্গ!

কেউ বলে স্টোরি আর
কেউ বলে গল্প
কেউ বলে কম আর
কেউ বলে অল্প।
এইভাবে-

কেউ বলে ভগবান
কেউ বলে ঈশ্বর-
কেউ বলে গড তিনি
গোটা এই বিশ্ব'র।

প্রভু তিনি আমাদের
লা-শরীক আল্লাহ-
তাঁর গুণ-গান গাই
বলে বিসমিল্লাহ!

পাগলা কবি


কান যদি হয় কর্ণ তবে
নাক হবে কি নর্ক
এসব নিয়ে কেউ কোনদিন
করছিল কী তর্ক?

দাঁতকে যদি দন্ত বলে
ঠোঁট তবে কী ঠন্ত-
এসব নিয়ে চিন্তা করে
লাভটা কী হয় কন্ তো?

চোখ যদি হয় চক্ষু তবে
মুখ কেন নয় মক্ষ-
যেমন করে বুকটাকে ভাই
সবাই বলে বক্ষ!

হাতকে যদি হস্ত বলে
পা তবে কী পস্ত-
এসব কথা চিন্তা করে
পাগল সে কোন্ মস্ত?

পাগলা কবি মিলাতে চায়
তার কবিতার ছন্দ,
এসব নিয়ে তাই প্রতিদিন
ঘটতেছে তার দ্বন্ধ!

প্রতিবাদের বাক্য


মিছিল-মিটিং করবেনা কেউ
সবাই ঘরে বাস করো-
পারলে বাড়ির আঙিনাতে
কুমড়া কদু চাষ করো!

তোমার মতো লক্ষ্-কোটি
মানুষ দেশে বাস করে-
দেশের কথা চিন্তা করে
লাভ কি জীবন নাশ করে?

প্রতিবাদের বাক্য তুমি
বের করো না মুখ থেকে-
জেল-জুলুমের হুমকি আছে
পারবে এসব রুখতে কে?vv

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১

আমার কিছু কথা

ছড়া লিখছি সেই ১৯৯৭ সাল থেকেই। শুরু থেকেই ছড়া পরিষদ সিলেটসহ বিভিন্ন ছড়া ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা গড়ে ওঠে। সেই সাথে পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি করি। বাংলাবাজার পত্রিকার শিশু-কিশোর বিভাগ হইচই পাতায় প্রতি সপ্তাহে লিখতাম। একই পত্রিকায় চাদের হাট পাতাতেও প্রচুর লিখেছি। দৈনিক ইনকিলাবের ছোটদের পাতা সোনালী আসরে অনেকদিন নিয়মিত লিখেছি। ভোরের    ডাক পত্রিকার ছোটদের পাতা ভোরের পাখিতে লিখেছি দীর্ঘদিন নিয়মিত। দৈনিক সংগ্রামের শাহীন শিবির পাতা প্রতি সপ্তাহেই লেখা ছাপা হতো। ভোরের কাগজের ইষ্টিকুটুম, ইত্তেফাকের কচি-কাচার আসর, সংবাদের খেলাঘর, মানব জমিনের কোলাজ, হইহুল্লোড়, আজকের কাগজের ছোটদের পাতা, মাতৃভূমিসহ এক কথায় জাতীয় পত্রিকা প্রায় সবগুলোর শিশু-কিশোর বিভাগেই লিখতাম। পরবর্তীতে প্রথম আলো বন্ধু সভায় লিখেছি, যুগান্তর স্বজন সমাবেশে, আর নয়াদিগন্তের অবকাশ এবং থেরাপি ম্যাগাজিনেও লিখেছি। এছাড়া যুগান্তর, নয়াদিগন্ত, সমকাল ও দৈনিক ডেসটিনিতে লিখেছি সমসাময়িক ছড়া। প্রথম আলোর গোল্লাছুট, যুগান্তরের আলোর নাচন, নয়াদিগন্তের আগডুম বাগডুম, সমকালের ঘাসফড়িঙেও লিখেছি টুকটাক। সিলেটের সকল পত্রিকাতেই আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের ডাক ও সিলেট বাণীতে বেশি লিখেছি। যগভেরী, শ্যামল সিলেট, জালালাবাদ, কাজীরবাজার, সবুজ সিলেটেও কমবেশি লিখেছি বিবিন্ন সময়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক উষাতেও লিখেছি দীর্ঘদিন।

ছড়া লেখার পাশাপাশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোট গল্প কিংবা কিশোর উপন্যাস এবং ছোটদের উপযোগী সায়েন্স ফিকশন রচনাতেও আমার যথেষ্ট সময় ব্যয় হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে এসব লেখা। বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় মাসিক অহরহ, শিক্ষা বিচিত্রা, ডাক পিয়ন এবং দশদিকসহ ঢাকার অনেকগুলো ম্যাগাজিনে আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ছোটদের পত্রিকা, কিশোর কথা ছোটদের কাগজ, কিশোর পত্রিকা, টইটম্বুর প্রভৃতি শিশু-কিশোর পত্রিকায় আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছে। মাসিক কিশোর কণ্ঠ এবং ফুলকুড়ি-তে একসময় নিয়মিত লিখেছি। গোলাপকুড়ি ও কিশোর কণ্ঠে আমার লেখা প্রচ্ছদ রচনাও ছাপা হয়েছে। সব পত্রিকা বা ম্যাগাজিনের কথা এখন আর মনে পড়ে না।

নিজে লেখালেখি করার পাশাপাশি অন্যদেরও লেখালেখি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। ২০০১ সালের শুরুর দিকে ছড়া যোদ্ধা আহমদ সোহেলের সাথে যেৌথভাবে সম্পাদনা করেছি ছড়া সংকলন জ্বালা। ২০০১ সালের মে মাস থেকে ২০০৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত বের করেছি শিশু-কিশোর পত্রিকা 'কচি'। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বের করেছি ছড়া বিষয়ক পত্রিকা ছড়াকণ্ঠ এর উদ্বোদনী সংখ্যা। এটা নিয়মিত বের করতে পারিনি। দ্বিতীয় সংখ্যাটি বের করেছি ২০০৫ এর জুন মাসে। ২০০৮ সালের আগষ্ট থেকে ২০০৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত বের করেছি মাসিক জকিগঞ্জের ডাক। নিজের লেখা একক  বই প্রকাশিত হয়েছে একটি। ২০০৯ সালের বইমেলায় ছোটদের ছড়া নিয়ে প্রকাশিত এ বইটির নাম কিচির মিচির। যেৌথভাবে বের হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ। এর মধ্যে ছড়া গ্রন্থ হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু, ছড়া নয় ছড়ি, অনুভবে তুমি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।